কক্সবাজার, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

প্লাস্টিকের বিনিময়ে ভোগ্যপণ্য

 

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের উদ্যোগে প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। প্রায় পনেরো ধরণের ভোগ্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে শুরু হয় এই কার্যক্রম। প্রবাল এই দ্বীপের বালিয়াড়িতে প্লাস্টিক একচেঞ্জ স্টোর নামে একটি দোকান খোলা হয়। এই স্টোর থেকে টাকা নয় বরং এক কেজি প্লাস্টিকের বিনিময়ে এক কেজি করে নানান ভোগ্যপণ্য নিতে পারছেন এখানকার সাধারণ মানুষ।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবক আকরুম হোসেন শাহীন  জানান, গতকালকে পর্যন্তও এই দ্বীপ প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরা ছিলো। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রিয়েটিভ ওয়েতে প্লাস্টিকগুলো সংগ্রহ করে এই একমাত্র প্রবাল দ্বীপকে পরিষ্কার ও পলিউশনমুক্ত রাখা। পরবর্তীতে এই প্লাস্টিকগুলো রিসাইকেল করে তার বিনিময়ে আবারো ভোগ্যপণ্য দেওয়া হবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে উচ্ছ্বাসিত সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষও। জানা গেছে সেন্টমার্টিনের প্রায় ৪০০ পরিবার ইতোমধ্যে প্রায় এক টনের অধিক প্লাস্টিক জমা দিয়ে নানান ভোগ্যপণ্য নিয়ে গেছেন। এবং এই কার্যক্রম চলমান থাকার কথাও জানান বিদ্যানন্দের সেচ্ছাসেবকরা। প্রতিমাসে দুইবার করে প্লাস্টিক একচেঞ্জ স্টোর থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিয়ে নেওয়া যাবে ভোগ্যপণ্য।

প্রায় ৮ কেজি প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে ৮ কেজি বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য নিয়েছেন সেন্টমার্টিনের মো: শাহ করিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম এই দ্বীপে এমন আয়োজন। ৮ কেজি প্লাস্টিক জমা দিয়েছি এবং তার বিনিময়ে চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নানান পণ্য নিয়েছি। আমরা চাই এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক।

এদিকে সেন্টমার্টিন থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিক দিয়ে কি করা হবে এমন প্রশ্নে বিদ্যানন্দের বোর্ড সদস্য মো: জামাল উদ্দিন জানান, সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে কক্সবাজারে বিশাল আকৃতির একটি ‘প্লাস্টিক দানব’ তৈরি করা হবে। মূলত আমরা সাধারণ মানুষকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে সচেতন করতে চাই।

সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও আনন্দ নিয়ে দেখছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগ। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে পরিবেশের ক্ষতিকর এই প্লাস্টিক দ্রব্য নির্মূল হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

পাঠকের মতামত: